ফেসবুক পেজ/গ্রুপ হোক ট্রাস্টের কেন্দ্রবিন্দু




আমি আমাকে দিয়ে শুরু করলাম:

সকাল হলো ঘুম ভেঙে চায়ের আগে মোবাইল টা হাতে চাই আর মোবাইল হাতে মানেই ফেইসবুক নিউজ ফিড। পত্রিকা দেখার ও প্রয়োজন নাই কারণ গুরুত্বপূর্ণ সব নিউজ কারো না কারো টাইমলাইনে থেকেই পেয়ে যাই। রাতে মোবাইল রেখে ঘুমানোর আগে চেক করে ঘুমাই কোনো নোটিফিকেশন আছে কিনা সব দেখে ক্লোজ করে ঘুমাই কিন্তু সকাল হলেই বা অনেক্ষন পর ফেসবুকে আসলেই নোটিফিকেশন।মোবাইল এর নোটিফিকেশন বা ফ্রেন্ডলিস্ট আইকনে  লাল এলার্ট আমার এলার্জি তাই তাড়াতাড়ি চেক করে শুন্য করে দেই, ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অনেকেই তার পেজ/ গ্রুপের জন্য রিকোয়েস্ট পাঠায় কিন্তু এতো এতো রিকোয়েস্ট এখন আর ভালো লাগে না। বছর দুয়েক আগের কথাই বলি অনলাইন বিজনেস করে এমন পেজ/গ্রুপ থেকে রিকোয়েস্ট আসলে খুব আগ্রহের সাথে লাইক দিয়ে ঘুরে আসতাম। এখন এতো এতো পেজ এত এতো গ্রুপ কোথায় যাবো তাই নিউট্রাল থাকি। কিন্তু পরে আবার ভাবি যারা রিকোয়েস্ট পাঠায় তারা কত আগ্রহ নিয়ে পাঠায় আর আমার একটা লাইক যদি তাকে সন্তুষ্টি এনে দেয় তাহলে আমার সমস্যা কি। ফের আবার লাইক দেই নোটিফিকেশন বাড়ে গিয়ে খুঁজে বের করি কে কে পাঠালো ইনভাইটেশন । জানি না আমার মতো সবাই ভাবে বা করে কিনা।

মনে হয় লাইক দেয়া উচিত [আমি আমার কথা বললাম] কারণ যে আপনাকে ইনভাইটেশন পাঠালো সে নিশ্চয়ই আপনাকে তার পেজ এর সার্ভিস সম্পর্কে জানাতে চাচ্ছে, আপনার এখন হয়তো প্রয়োজন নেই কারণ আপনি বাহিরে বের হতে পারছেন, হাতে সময় আছে, নিজ ইন্দ্রিয় দ্বারা চেক করে একই সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।



আমি নতুন পেজ বিশ্বাস করি না:

প্রতিদিন নতুন নতুন পেজ কতজনকে বিশ্বাস করব? যাদের পেজে মেম্বার বেশি তারাই ট্রাস্টেড।হ্যা লাইক বা জয়েন করেন ওই গ্রুপে যাদের অনেক অনেক বেশি ফলোয়ার / মেম্বার রয়েছে। তারা কিন্তু জন্ম থেকেই এতো মেম্বার নিয়ে আসে নি, তাদের এখানে আসতে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। তারাই যখন প্রথম শুরু করেছিল এই আপনি/আমরাই তাদের ভুরুক্ষেপ করতাম না। কিন্তু যখন দেখি তাদের ফলোয়ার/মেম্বার অনেক অনেক বেশি তখন আমরাই বলে ট্রাস্টেড। আমি নিশ্চিত করছি ছোট্ট পেজ থেকে সেবা নিয়ে দেখুন তাদের কাছে আপনারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে  পেজ মালিক নিজে গিয়ে আপনাকে ডেলিভারি দিয়ে আসবে কারণ তারা ট্রাস্ট কালেকশন করতে চায়।



অনলাইন কেনাকাটা:

আমি অনলাইন কিনবো! কখনই না। আপনি নানা অজুহাত তুলে ধরবেন আর কেনই বা নয়। পাশের বাসার  আন্টি অনলাইনে প্রোডাক্ট কিনে ভালো ড্রেস পায় নাই, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে দেখি প্রতারিত হওয়ার গল্প, সেই তুলনায় সফলতার গল্প পাবেন না।  আর সফলতার ২-১ টি পোস্ট আপনার সামনে আসবে কিন্তু সেগুলো আপনার কাছে ততটা গুরুত্ব পাবে না যতটা গুরুত্বের সাথে ব্যর্থতার গল্পটি পড়েন। যারা সত্যিকার বিজনেস করতে আসে তারা আপনাকে ঠকাতে আসে না, তারপর ও ব্যতিক্রম কিছু বিষয় থাকে ডেলিভারি, প্যাকেজিং, প্রোডাক্ট কালেকশন ইত্যাদি এর মধ্যে যদি কেউ একজন তার দায়িত্ব অবহেলা করে তাহলে ঘটে যায় প্রতারণা। আর স্বাভাবিক বিষয়ের মত সেই প্রতারণার ভার ওই কোম্পানিকেই নিতে হয়। তবে এই বলে যে দ্বিতীয় বার একই  ঘটনার সম্মুখীন হবেন এমনটা কিন্তু নয়। আপনার চারপাশে তাকান আগে কত জন অনলাইনে কেনাকাটা করতো আর এখন কতজন করে। আপনার ট্রাস্টের জায়গাটা আপনাকেই তৈরী করতে হবে।

 

সকালের আবহমান কথা বলতে গিয়ে অনেক টিপস ও দিয়ে ফেললাম জাতির উদ্দেশ্যে (যারা ফেইসবুক ব্যবহার করে) । লেখার ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধে শেষ করছি। ফিরবো পরের কোনো টপিকস এর সাথে।

 

কৃতার্থে: ইমবা 

Post a Comment

0 Comments