সালাত সম্পর্কে:
রাসুল (সাঃ) বলেন, একাকী সালাত অপেক্ষা জামাতের সাথে সালাত ২৭ গুণ উত্তম।
(বুখারী-৬৪৫, মুসলিম-৬৫০)
মিথ্যা বলা সম্পর্কে:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই ব্যক্তির জন্য ধ্বংস, যে কথা বলে এবং জনতাকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে। তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬২৪)
সালাত অবহেলার শাস্তি:
বিশ্ব নবী মুহাম্মদ (স:) বলেন, যে ব্যক্তি মহাপবিত্র কোরআনুল কারিম মুখস্ত করে পরে ভুলে ফেলেছে, আর যে ব্যক্তি ফরয সলাত আদায় না করে শুয়ে পড়েছে কিয়ামত দিবসে উভয়কে পাথর ছুড়ে মাথা ভেঙ্গে দেয়া হবে। (সহীহ আল-বুখারী, হাদীস-১১৪৩)
কবীরা গোনাহ সম্পর্কে:
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) কে কবীরাহ গোনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, উত্তরে বলেন: ‘‘আল্লাহর সাথে শিরক করা, পিতা-মাতার অবাধ্যতা, নিরপরাধ-নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া”। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৬৫৩)
জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি জ্ঞানের (ইলমের) সন্ধানে কোনো পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতের পথ সহজ করে দেয়”। (মুসলিম হা/২৬৯৯ ও ২৭০০)
নিজ গৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে করণীয়:
মহান আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। (সূরা নূরঃ ৬১)
দান-সাদকা সম্পর্কে:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, দান সাদকা গুনাহসমূহ বিলীন করে দেয় যেমনভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি হা/২৬১৬)
দোয়া কবুল হওয়া সম্পর্কে:
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন ‘‘আজান ও ইকামতের মধ্য সময়ে কৃত দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না অর্থাৎ এ সময়ের দোয়া কবুল করা হয়। (মুসলিম-৬৬৮, আহমদ-১৩৮৬৩, দারেমি-১১৮২)
ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত সালাত সম্পর্কে:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ফজরের দুই রাকাত সুন্নাতের মর্যাদা দুনিয়া এবং এর মাঝে বিদ্যমান সবকিছু হতে শ্রেষ্ঠ। (মুসলিম হা-৭২৫)
খাবার খাওয়ার সময় কি বলতে হয় সে সম্পর্কে:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, শয়তান সেই খাদ্যকে নিজের জন্য হালাল করে নেয় যে খাদ্যে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা হয় না। (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৬০)
অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা সম্পর্কে:
যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে ঐ ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। (বুখারী-২৪৪২, মিশকাত-৪৯৫৮, মুসলিম-৬৭৪৩)
যেনা-ব্যভিচার সম্পর্কে:
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যেনাকার এবং যেনাকারিণী কেয়ামত পর্যন্ত উলঙ্গ অবস্থায় আগুনে জ্বলতে থাকবে। (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬২১)
প্রকৃত বীরের পরিচয় সম্পর্কে:
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তীতে হারিয়ে দেয়। বরং সেই আসল বীর, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। (বুখারী-৬১১৪, মুসলিম-২৬০৯)
পরে আসছি আরো নতুন কিছু হাদীস নিয়ে। আপনারা এইগুলো জানেন তবুও ঝালাই দিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ।
0 Comments