করোনা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে , সবকিছুর মত শিক্ষা ব্যবস্থাতেও এর বেশ প্রভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খারাপ সময়ের রেশকাটাতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ টি ক্লাস নিচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই ওই সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে তারা স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। [ যদিও এক সময় বলা হত স্মার্টফোন ক্ষতি বাচ্চাদের ধরা যাবে না এখন আপনি নিজেই সময় করে ডেকে হাতে তুলে দিচ্ছেন ] খুবই ভালো নিয়মিত সে অনলাইনে ক্লাস করছে কিন্তু সাবধান ক্লাসের বাহিরে অতিরিক্ত সময় হাতে স্মার্টফোন নয়। প্রতিদিনের মত সকাল হচ্ছে ঘুম ভাঙতে ভাঙতে বেলা ৯টা থেকে ১০টা বেজে যাচ্ছে আপনি ঘুম থেকে টেনে তুলছেন না কারন আপনার বাচ্চা আগেরদিন অনেক রাত পর্যন্ত অনলাইনে ভিডিও ক্লাসে ছিল। হ্যা সে ক্লাসে উপস্থিত ছিল কিন্তু সেটা ১ বা সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা/ক্লাসের জন্য তাহলে বাকি সময় ?
এবার আসল বিষয়ে আসি -
১। মোবাইল হাতে দিয়ে আপনি রান্না-বান্না বা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ঠিক তখনই সে গেম খেলা শুরু করে দিলো।
২। আপনি যখন তাকে দেখতে গেলেন কি করছে গিয়ে দেখছেন ক্লাস করছে কিন্তু না সে আগের ক্লাস রেকর্ড করে রেখেছে ঐটাই প্লে করে রেখেছে। যখনই আপনি কাছে যাচ্ছেন আপনাকে দেখায় ক্লাস হচ্ছে আবার আপনি চলে গেলে মিনিমাইজ করে গেম ওপেন।
৩। আম্মু সকালে ক্লাস আছে মোবাইল চার্জে বসিয়ে রাখি আমার রুমে , না সে চার্জ দিবে ঠিকই কিন্তু আপনি ঘুমিয়ে পড়লে আবার সে গেম খেলা শুরু করবে।
আপনার করণীয় :
১। কিছু গেম যা আসক্তি বাড়ায় মোবাইলের প্রতি তাই ঐগুলো ইনস্টল করে রাখবেন না আপনার মোবাইলে।
২। অনলাইনে সার্চে যাতে আপত্তিকর কোনো কিছু না আসে এই জন্য ব্রাউজার এর সেটিংস > জেনারেল > সেভ সার্চ অন করে রাখুন।
৩। ডেইলি ক্লাসের রুটিন চেক করে দেখবেন কখন ক্লাস আছে।
৪। প্রয়োজনের বাহিরে অতিরিক্ত ১ মিনিটের জন্য মোবাইল নয়।
৫। রাতে মোবাইল আপনার রুমে রাখুন।
মনে রাখবেন করোনা ঠিকই চলে যাবে কিন্তু একবার আসক্তি হয়ে গেলে পূর্বের অবস্থায় ফিরতে অনেক সময় লাগবে।
বি:দ্রঃ সব বাচ্চা সব অভিভাবক এক নয়
লেখকঃ ইমবা
0 Comments