বাংলাদেশে ফ্রান্সের কি কি পণ্য রয়েছে

বিশ্বজুড়ে ফরাসী পণ্য বর্জনে হ্যাশ ট্যাগ (#BoycottFrenceProducts) ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে ফরাসী পণ্য বর্জনে হ্যাশ ট্যাগ (#BoycottFrenceProducts) ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের কি কি পণ্য বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয় বা ফরাসীদের কোন ব্র্যান্ডের পণ্য আমরা ব্যবহার করে থাকি এইগুলো এখন প্রত্যেক দেশের জন্য জনপ্রিয় কিছু কিওয়ার্ড হয়ে উঠেছে। হিড়িক পরে গেছে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা -সমালোচনা। আসুন জেনে নেই বাংলাদেশের সাথে ফ্রান্সের বাণিজ্যিক পণ্যের তালিকা।   

#boycottfrance

#we_love_Mohaammad(S:)

ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে অনেকদিনের পুরোনো। উভয় দেশিই বিভিন্ন রকম পণ্য আমদানি-রফতানি করে থাকে। ফ্রান্সে গার্মেন্টস, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই বাংলাদেশ এগুলো রফতানি করে আসছে। অন্যদিকে ফ্রান্স এদেশে রাসায়নিক, সুগন্ধি,  প্রসাধনী সামগ্রী, ফার্মাসিটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক পণ্য রফতানি করে। 

বাংলাদেশে ফরাসী ব্র্যান্ডের খুব জনপ্রিয় কিছু পণ্য রয়েছে যেমন: লাফার্জ সিমেন্ট, বিক রেজর, টোটাল গ্যাস সিলিন্ডার, মেডিসিন প্রোডাক্ট সানোফি এবং কসমেটিকস সৌন্ধর্যবর্ধক প্রতিষ্ঠান গার্নিয়ার ও লরিয়েল ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীরা আমদানি করে থাকে।    

সম্প্রতি ফ্রান্সে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ফরাসী পণ্য বর্জনে হ্যাশ ট্যাগ (#BoycottFrenceProducts) ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশ ফরাসী পণ্য বর্জনের জোরালো ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশী ব্যবহারকারীরাও। বিভিন্ন দেশের সুপারশপ বা খুচরো বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ফরাসী পণ্যসমূহ। ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে পণ্য বয়কটের ব্যানার।  

ছবি: সংগৃহীত


ফ্রান্সের সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দেয়ালে শার্লি এবদোর সেই বিতর্কিত ১২টি কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেশটির সরকার এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। ফ্রান্সের কয়েকটি ভবনের সামনে এবং সরকারের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামকে সম্পৃক্ত করা এবং নবী মুহাম্মদ (সা.) কে অপমানজনক প্রচারণার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।

ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্রান্সের নাগরিক ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করছেন কতিপয় ফরাসি কর্মকর্তা। বাক-স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সংস্থাটি ফ্রান্সকে তার বৈষম্যমূলক নীতিগুলো পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।


Post a Comment

0 Comments