করোনা (কোভিড-১৯) মহামারীর কারনে মার্চ মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সরকার নানাভাবে উদ্যোগ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা যেন প্রতিষ্ঠানমুখী নির্দেশনা অনুসরন করে। এরই ধারাবাহিকতায় অনলাইনে পাঠদান, পাঠদানের ভিডিও সরবরাহ এবং সর্বশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সকল সরকারী, বেসরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। সরকারের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে একশ্রেণী সাধুবাদ জানালেও অনেকে এটা মানতে পারছেন না। সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই অস্থায়ী অনেক শিক্ষক রয়েছেন । যারা স্কুল বন্ধের পর থেকে কোন রকম বেতন পাচ্ছেন না। কোন কোন স্কুলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ২-৩ মাস বেতন দিলেও এখন আর নিয়মিত দিচ্ছেন না। কোন কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বুনে রাখা স্বপ্ন। শিক্ষকগন যে যেভাবে পারছেন জীবিকা নির্বাহ করছেন । খুবই বিষণ্ণতার সাথে অতিবাহিত করছেন প্রত্যেকটি দিন ।
সংগৃহীত |
নিয়মিত পত্রিকা হাতে নিলে দেখা যায় আজ এই স্কুল বন্ধ তো কাল ওই স্কুল বন্ধ । কিন্তু এই প্রত্যেকটি স্কুলেই তো ছিল শিক্ষার্থী, যাদের পাঠদানের জন্য ছিলেন গুনি শিক্ষকগন ।
পত্রিকা পরে পাঠকদের মনের খোরাক জোগাতে পারলেও দৃষ্টি কাড়তে ব্যর্থ ওই সকল ব্যক্তিদের, যারা চাইলে একটি উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে পারেন শিক্ষকদের জীবনধারায়, মুছে দিতে পারেন আর্তনাদের গ্লানি। আমরা ভুলে যাচ্ছি শিক্ষক একজন মানুষ, তার পরিবার-পরিজন আছেন, সেও চায় আমাদের মত বাঁচতে ।
শিক্ষকদের বাঁচান, শিক্ষা বাঁচান, দাঁড়াতে দিন বাংলাদেশকে।
কৃতার্থে
মোঃ ইমরান হোসেন
0 Comments