প্রাণঘাতী কোভিড প্রাদুর্ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থা

থাকবা না’ক বদ্ধ ঘরে

দেখব এবার জগতটাকে!

কাজী নজরুলের এই সংকল্পে ছেদ কেটে দিল করোনা। এখন যেন বাইরে বের হওয়াই মানা। অদৃশ্য এক মহামারী আমাদের বিশ্ব-জগৎ থেকে আলাদা করে রেখেছে। 

এমন অবস্থা নতুন নয়! জনজীবন থমকে দেওয়া মহামারী প্রায় প্রতি একশ বছর পর পর প্রত্যক্ষ করেছে পৃথিবী। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে যক্ষ্মা ছিল নিয়ন্ত্রনের বাইরে। তখনকার সময়ে প্রতি সাত জনে একজন মারা যেত যক্ষ্মায়। 

মহামারীর এমন পরিস্থিতিতে বারবারই শিক্ষা ব্যবস্থা নাজেহাল হয়েছে। পূর্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ শিক্ষা ব্যবস্থায় গতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারলেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে শিক্ষা ব্যবস্থা চলমান রাখায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তি এখন যোজন যোজন দূরত্বকে কমিয়ে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে।

প্রাণঘাতী কোভিডের প্রার্দুভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থার সৃষ্টি করলেও শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান শিক্ষার সময়টা যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য প্রথাগত শিক্ষার কাঠামো ভেঙে দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। স্কুল কলেজের গেইট বন্ধ থাকলেও ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতেই চলছে অ-আ-ক-খ থেকে অঙ্ক-বিজ্ঞান বা সাহিত্যের জ্ঞান চর্চা।

স্কুল কলেজগুলি এখন অনলাইন ক্লাস চালানোর জন্য ফেসবুক, জুম, গুগল মিট, এমএস টিমস্-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ানোর পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের মতামতও নিতে পারছেন। ফলে ভার্চুয়াল ক্লাস যেন এখন বাস্তবিক ক্লাস।


Post a Comment

0 Comments